দুই হাজার দুইশ কোটিরও বেশি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলায় রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হককে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। শুনানিতে দুদকের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হককে আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে জামিন আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে র্যাব এনামুল হককে আটক করে। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।
দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম গত ২৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এনামুল হক জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে প্রায় ১৮ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২২টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
মামলায় তার স্ত্রী তহুরা হকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি স্বামীর সহায়তায় প্রায় ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তার নামে থাকা দুটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।