দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ আবারও রাজপথে নামছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা একত্র হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা ও শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে নতুন এক তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে।
এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষায় এবং সমতার ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থা গঠনের দাবি জানাচ্ছে। তারা বলছে, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বাছাইপ্রথা বিরাজ করছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন ও অবিচারের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলো শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, যা সহ্য করা সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে ছাত্র সংগঠনগুলো কঠোর অবস্থান নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর প্রতিরোধ করা হবে। ছাত্র সমাজ তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে চালিয়ে যাবে, কোনো অরাজকতার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈষম্যবিরোধী এই ছাত্র আন্দোলন দেশের শিক্ষাঙ্গনে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপের সূচনা করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার উত্তেজনা ও সংঘর্ষ এ আন্দোলনের গতিকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। তাদের মূল চাওয়া—সকল শিক্ষার্থীকে সমান সুযোগ এবং নিরাপদ শিক্ষাপরিবেশ প্রদান করা। এছাড়া, তারা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের কার্যকর নীতি গ্রহণ করা হোক।
রাজপথের এই আন্দোলন দেশের শিক্ষাঙ্গনে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগামী দিনে এই আন্দোলনের গতি ও প্রভাব কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।