দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল ও সহিংস রাজনীতির বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজমান আতঙ্ক, ভয় ও দমননীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রকাশ করছে প্রতিরোধের ভাষা। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজনতা একযোগে শপথ বাক্য পাঠ করেছে—যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল সহিংসতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে সমস্বরে শপথ নেয়—তারা কোনো সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব বা চাঁদাবাজির সঙ্গে আপস করবে না। যে-ই হোক না কেন, শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার বিরুদ্ধে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং নিজেদের ক্যাম্পাসকে নিরাপদ ও স্বাধীন রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যেসব ক্যাম্পাসে প্রতিদিনই দলীয় পরিচয়ে চাঁদা তোলা, নির্যাতন চালানো, ক্লাস-পরীক্ষা ব্যাহত করার মতো ঘটনা ঘটছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাদের ভাষায়, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর খেলার মাঠ নয়—এটি জ্ঞানচর্চা ও স্বাধীন মত প্রকাশের স্থান।
এই আন্দোলনে নেতৃত্ব নেই, ব্যানারে নেই কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নাম। রয়েছে কেবল ছাত্রজনতার ব্যথা, ক্ষোভ এবং বদলে দেওয়ার সংকল্প। শপথে তারা বলেছে, অন্যায়ের কাছে মাথানত নয়—তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এই উদ্যোগ নতুন এক ছাত্রচেতনার প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এটি কোনো একদিনের ক্ষোভ নয়, বরং বহুদিনের জমে থাকা বঞ্চনা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
তাদের আহ্বান, শিক্ষাঙ্গনকে মুক্ত রাখতে হলে সবাইকে এক কণ্ঠে বলতে হবে—সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কোনো জায়গা নেই আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলন চলবে যতদিন না এই বার্তাটি বাস্তবে প্রতিষ্ঠা পায়।