বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট সম্প্রতি একটি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এক নারী তার পরিচয় ও তথ্য ব্যবহার করে আলিয়ার নামে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ দামি ইলেকট্রনিকস সামগ্রী কিনেছেন। ঘটনাটি সামনে আসতেই বলিউডে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের সাইবার শাখা এই প্রতারণার অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত নারী একজন প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি ভুয়া কাগজপত্র ও আলিয়া ভাটের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে আলিয়ার নামেই একটি ক্রেডিট কার্ড চালু করেন। পরে সেই কার্ড ব্যবহার করে দামি ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেনেন, যার মধ্যে ছিল নতুন মডেলের আইফোন, একটি স্মার্ট টেলিভিশন এবং একটি রেফ্রিজারেটর।
এই প্রতারণা তখন ধরা পড়ে, যখন ব্যাংক থেকে আলিয়ার ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কার্ডের বিল সংক্রান্ত বিষয়ে। তারা দ্রুত বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে জানায়। এরপরই পুলিশের প্রযুক্তি সহায়তা বিভাগ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত নারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রতারণা এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ধারায় মামলা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং তার মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে, তিনি এর আগে আরও কারও সঙ্গে একই ধরনের প্রতারণা করেছেন কি না।
এই ঘটনার পর আলিয়া ভাট এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি। তবে তার ম্যানেজমেন্ট টিম জানিয়েছে, তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি ক্লাসিক উদাহরণ কিভাবে সেলিব্রেটিদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণা ঘটানো হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে আরও কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।