জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আরও সময়োপযোগী করতে সিলেবাস সংস্কার ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশ কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রতিনিধি ফারুক অ্যাডরিয়ান ডুমুন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম এবং কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য আমানুল্লাহ বলেন, “শুধু ডিগ্রিধারী নয়, শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের জন্য প্রস্তুত করাই আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য সিলেবাস আধুনিকীকরণ সময়ের দাবি।” তিনি জানান, এই অংশীদারিত্ব কেবল পাঠ্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না; শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক দক্ষতা ও মানসিক বিকাশেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
চুক্তির আওতায় ইউনিসেফ যে বিষয়গুলোতে সহায়তা দেবে তার মধ্যে রয়েছে: পাঠ্যক্রম উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি), আইসিটি ও সফট স্কিল প্রশিক্ষণ, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, সচেতনতা কার্যক্রম, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, শিল্পখাতে সংযোগ স্থাপন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কিছু নির্ধারিত কলেজে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ কার্যক্রম শুরু হবে। সফল হলে ধাপে ধাপে সব কলেজে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি কার্যকর পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।