রাজধানীর দক্ষিণখানে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির দেহতল্লাশি করে পায়ুপথ থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারে অভিনব এই কৌশল অনুসরণ করায় ঘটনাটি ঘিরে স্থানীয় এলাকাসহ রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দক্ষিণখান এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক আচরণ এবং পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ইয়াবা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে সন্দেহজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করানো হলে পায়ুপথে ইয়াবা থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তার দেহ থেকে একে একে বের করে আনা হয় দুই হাজার পিস ইয়াবা। আটক ব্যক্তি পুলিশকে জানায়, সে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে আসছিল এবং এগুলো রাজধানীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ ধারণা করছে, এই চক্রটির সঙ্গে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে এবং একটি সংগঠিত মাদক পাচার নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবেই সে কাজ করছিল।
এদিকে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেও অনেকে মন্তব্য করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এছাড়া, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাদক পাচারে এমন কৌশল ব্যবহার এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার সমাজে এক গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যেই হোক, মাদক কারবারে জড়িত কেউই রেহাই পাবে না।