ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে এসেছে চমকপ্রদ পরিবর্তন। প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে অকৃতকার্য থাকা তিনজন শিক্ষার্থী নতুন ফলাফলে সরাসরি জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। রোববার সকাল ১০টায় প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফলে দেখা যায়, এই তিনজনসহ মোট ২৮৬ জন শিক্ষার্থী নতুন করে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছেন। এছাড়া পূর্বের ফলাফলে ফেল করা ২৯৩ শিক্ষার্থী এবার পাস করেছেন।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, অনেক সময় পরীক্ষার্থী ভালো নম্বর পেলেও তা সঠিকভাবে বসানো না হওয়ায় বা যোগফলে ত্রুটি থাকায় ভুল ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। খাতা যারা মূল্যায়ন করেন তারাও মানুষ, তাই ভুলের সম্ভাবনা থাকে। তবে এ ধরনের ত্রুটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা বোর্ড সূত্র জানায়, এবার ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। আবেদনকারীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার বেড়েছে। গণিত বিষয়ে সর্বাধিক ৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে সমানভাবে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে, মাত্র ছয়টি।
পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। মূলত নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়।