দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি একসাথে পড়ায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় জমতে শুরু করে। আগত ভ্রমণপিপাসুরা সমুদ্রের নোনাজলে স্নান করে, ঘোড়া ও মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে কিংবা ওয়াটার বাইকে চড়ে আনন্দে মাতেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
দীর্ঘদিন পর এমন প্রাণবন্ত পরিবেশে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাটসহ প্রায় সব জায়গাতেই বিক্রি বেড়েছে। বর্তমানে কুয়াকাটার প্রায় ৯৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়কে কুয়াকাটার প্রধান মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে পর্যটক বাড়তে শুরু করে। পূজার ছুটির পাশাপাশি মৌসুম শুরুর কারণে এবার অন্তত ১৬টি পেশার মানুষের নতুন প্রস্তুতি দেখা গেছে। ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
বুধবার সকাল থেকেই সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, গঙ্গামতি, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, মিশ্রিপাড়া সহ সব স্পটে ছিল পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। তবে ভ্রমণকারীদের অনেকেই জানান, কুয়াকাটায় দুই-তিন দিন থাকার মতো পর্যাপ্ত স্পট নেই। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নান্দনিক সৈকতের অভাব তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
পাবনা থেকে পরিবারসহ বেড়াতে আসা আব্দুস সমীর বলেন, “পূজার ছুটিকে কেন্দ্র করে অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। কুয়াকাটা সুন্দর হলেও রাতে সময় কাটানোর মতো বিশেষ জায়গা নেই। যদি থাকতো, পর্যটক আরও আকৃষ্ট হতো।”
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, “আজ পর্যটকে পরিপূর্ণ ছিল সৈকত। পর্যটক এলে এখানকার সবাই উপকৃত হয়। আমাদের জীবিকা এর সঙ্গে জড়িত। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, সারা বছর কুয়াকাটায় পর্যটক টানার উদ্যোগ নেওয়া হোক।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, “পুলিশ সদস্যরা পোশাক ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও স্টেকহোল্ডাররা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”