ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের টানা বিমান ও গোলাবর্ষণে আরও অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলা হামলায় আবাসিক ভবন, স্কুল ও শরণার্থী শিবির ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার জায়তুন এলাকার আল-ফালাহ স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আশ্রয় নেওয়া বহু বাস্তুচ্যুত মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামলার সময় উদ্ধারকর্মীরাও আহত হন। এ ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে আল-আহলি আরব হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে। নিহতদের মধ্যে একজন সিভিল ডিফেন্স কর্মীও রয়েছেন।
একই দিনে দারাজ মহল্লার একটি বাড়িতে হামলায় সাতজনের প্রাণহানি ঘটে। জায়তুনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার নিহতদের মধ্যে ৪৭ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা।
গাজা সিটি বর্তমানে ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন এবং হাজারো বাসিন্দা দক্ষিণাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তবে উত্তর-দক্ষিণ যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক আল-রাশিদ বন্ধ করে দেওয়ায় নিরাপদে যাত্রা করাও কঠিন হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে গাজা সিটিতে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আগেই চিকিৎসা সহায়তা সংস্থা এমএসএফ একই পদক্ষেপ নেয়। তবে দেইর আল-বালাহ ও রাফাহর অফিস থেকে সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে রেড ক্রস।
অন্যদিকে আল-শিফা হাসপাতালের প্রাঙ্গণে অজ্ঞাত পরিচয়ের ১১ জনের মরদেহ গণকবরে দাফন করা হয়েছে। অব্যাহত হামলার মুখে এই হাসপাতালটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে, বিশেষ করে কিডনি ডায়ালাইসিসসহ গুরুতর চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগীরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বিষয়ে হামাস এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে নিকট ভবিষ্যতে হামলা থামার সম্ভাবনা অনিশ্চিতই রয়ে গেছে।