সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চীনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যদি চীন যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল মাটি থেকে তৈরি চুম্বক সরবরাহ না করে, তবে এর জবাবে চীনের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অসাধারণ শক্তি রয়েছে, যা প্রয়োগ করা হলে চীনের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যদিও তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, সরাসরি ধ্বংস করার পথে তিনি হাঁটবেন না, তবে চীনকে চাপের মধ্যে আনতে শক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প দেখছেন না।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পেছনে রয়েছে চলমান বাণিজ্যিক উত্তেজনা। কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কনীতির জবাবে চীন বিরল পৃথিবী উপাদান ও চুম্বক রপ্তানিতে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। এসব উপাদান আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য অপরিহার্য। ফলে দুই দেশের এই দ্বন্দ্ব শুধু রাজনৈতিক নয়, বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও সরবরাহ চেইনকেও বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমেরিকার নিরাপত্তা ও শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। তিনি বলেন, চীনের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানো হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টিকে থাকতে পারবে না, আর এর মাধ্যমে আমেরিকার উৎপাদন খাত আরও শক্তিশালী হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে শুরু হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠবে।
এই পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তার কারণে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিরল মাটির উপাদান সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। ট্রাম্পের এই কড়া বার্তার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।