তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি মুসলিম ব্রাদারহুডের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে তুরস্ক ও মিশরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, আটককৃত ব্যক্তিরা মিশর থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে মিশর সরকার ২০১৩ সালে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে সংগঠনের বহু নেতা ও কর্মী দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন, যার মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। তৎকালীন সময়ে তুরস্কের সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল এবং অনেককে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঙ্কারা ও কায়রোর মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। দুই দেশই আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সমুদ্রসীমা বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যদের আটক একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে তুরস্ক মিশরের সঙ্গে তার দূরত্ব কমিয়ে আনতে চাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে তুরস্ক এখন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি আগের মতো নরম অবস্থানে নেই এবং আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে কূটনৈতিক পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে। মিশরীয় সরকার ইতিমধ্যে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশাবাদ প্রকাশ করেছে যে এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।
এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শক্তির নতুন সমীকরণ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির গতিপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক।