তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের প্রতি তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘রক্তপিপাসু’ আখ্যা দিয়েছেন। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের মধ্যে এই মন্তব্য নতুন করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এরদোগানের এই বক্তব্য তার নিজের দেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মধ্যেও ব্যাপক সমর্থন ও প্রতিক্রিয়া উভয়ই বয়ে এনেছে।
এরদোগান বলেন, ইসরাইলের চলমান নৃশংসতা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি নির্মমতা একেবারেই সহ্য করার মতো নয়। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ইসরাইলের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় এবং মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “যে দেশ অন্যদেশের রক্তের জন্য পিপাসু, সেটি কখনো শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারে না।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে গাজা উপত্যকায় ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও সেনা কার্যক্রমের ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইসরাইলি সেনাদের পরিচালিত অভিযানে বহু ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা ও সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, ইসরাইল এই সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে যথাযথ দাবি করেছে। তারা বলছে, নিজেদের সীমান্ত ও নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এরদোগানের কড়া ভাষার প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এরদোগানের এই হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক গণ্ডি ও শক্তির ভারসাম্যে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, এটি তুরস্কের অঞ্চলে ফিলিস্তিনপক্ষীয় অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুরস্কের কণ্ঠস্বরকে দৃঢ় করবে।
পরবর্তী সময়ে এই ইস্যুতে কূটনৈতিক বৈঠক ও আলোচনা হওয়া সম্ভব, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এরদোগানের কঠোর ভাষা এবং ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।